একসময় ছিল,আমাদের মায়েরা সালোয়ার কামিজে, ওড়নায়,শাড়ির আঁচল, ব্লাউজের হাতা বা পেটিকোটে কুসির লেইস বানাতো। এমনকি বালিশের ওয়াড়, আলমিরার আয়নার ঢাকনির ধারে, রুমালে বা টেবিল ক্লথে, যে কোন হাতের কাজের জিনিসেই বাহারী লেইস চোখে পড়ত। কুশির কাজ নিয়ে বলতে গেলে শেষ হবেনা, আমাদের আছে এর গৌরবম্য সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। তবে অনেক সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে বসে বানাতে হয় বলে আস্তে আস্তে আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এই কুশির সেলাই। মনে হয় যেন এই কঠিন সূতের কাজ নানী- দাদী রাই বানাবে। আসলে তা না। সময়ের অভাবে বড় কিছু না হোক, শখ মেটাতে ছোট খাটো কুশির সেলাই আমরা করতেই পারি। আর তাই আজ আমি আপনাদের বলব, কিভাবে আমি আমি আমার ওড়নার ধারে খুব সহজ কুশির লেইস বানিয়েছি।
আমি খুব ভালো কুশির সেলাই জানিনা, শিখেছি আমার মায়ের কাছে থেকে। তার আলোকেই আজ আপনাদের এই সেলাই নিয়ে কিছু প্রারম্ভিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।
প্রথনেই কাঁটা। কুশি কাঁটা নানা মাপের হয়। সূতার দোকানেই আপনি কুশির কাঁটা এওং সূতা পেয়ে যাবেন । সূতার কতটুকু মোটা নিবেন, তার উপর কাঁটা ও মোটা চিকন হয়। আমি যে কাঁটা ব্যাবহার করেছি, গায়ে লিখা 0.75 mm আর এটা সব সূতার দোকানেই পাওয়া যায়। দামেও সস্তা (৪০-৫০/-)
দুই ধরণের কুশি সেলাই আছে। চেইন আর লং। লং সেলাইটা আবার নানা রকম হয় তবে সব ধরণের লং এর সেলাই মূলত একই। আপনি যদি চেইন আর যেকোন একটা লং তুলতে পারেন, তাহলে আপনি যে কোন কুশির সেলাই তুলে ফেলতে পারবেন।
প্রথমে আমি ওড়নার এক মাথায় কাঁটা দিয়ে ছিদ্র করে সূতা ঢুকিয়ে একটা বিষ গিঠঠু দিয়ে সূতাটা ওড়নার সাথে আটকে নিয়েছি।
এরপর তিনটা চেইন তুলেছি।
যে কয়টা চেইন তুলবেন, আপনার লেইসটা তত টুকু চওড়া হবে।
চেইন তোলা খুব সহজ।
আপনার ডান হাতে থাকবে কাঁটা। বাম হাতের আঙ্গুলে সূতা পেঁচিয়ে টানটান করে নিন।
ডান হাতের কাঁটা কাপড়ের ছিদ্রে ঢুকান।
বাম হাতের সূতায় কাঁটা পেঁচিয়ে একটি ঘর তুলুল। হয়ে গেল আপনার প্রথম চেইন।
একই ভাবে তিনটি চেইন তুলুন।
বাম হাতের সূতা বেশি টানটান হয়ে গেলে আপনি ডান হাতের কাঁটা আগু-পিছু করে আপনার সেলাই এবং ঘরে কতটুকু ঢিলা হবে ঠিক করে নিতে পারেন।
এবার লং তোলার পালা।
কাটায় দুই বার সূতা পেচান।
কাঁটা কাপড়ের ছিদ্রে ঢুকিয়ে নিন।
বাম হাতের সূতা থেকে একবার পেঁচিয়ে কাটায় তুলে নিন।
এখন আপনার কাটায় চার টা ঘর আছে।
এখন নতুন করে আরেকবার সূতা পেচান।
সূতাটা আগের দুই ঘরের ভিতর দিয়ে ঢুকিয়ে ঘর দুইটা ছেড়ে দিন
এখন আপনার কাটায় তিন ঘর আছে
এখন নতুন করে আরেকবার সূতা পেচান।
সূতাটা আগের দুই ঘরের ভিতর দিয়ে ঢুকিয়ে ঘর দুইটা ছেড়ে দিন
এখন আপনার কাটায় দুই ঘর আছে
এখন নতুন করে আরেকবার সূতা পেচান।
সূতাটা আগের দুই ঘরের ভিতর দিয়ে ঢুকিয়ে ঘর দুইটা ছেড়ে দিন
এখন আপনার কাটায় মাত্র এক টা ঘর আছে
হয়ে গেল আপনার একটা লং
এভাবে তনটি লং বানান।
চেইন তোলার মত করে কাপড়ে আটকে নিন
পরের টুকু আবার রিপিট করুন- তিন চেইন, তিন লং
এভাবে শেষ পর্যন্ত এসে কিভাবে সূতা ছেড়ে দিবেন? খুব সহজ। চেইনের ভিতর দিয়ে সূতা নিয়ে জোরে টেন নিন, একটা গিঁট পড়ে যাবে। বড় করে সূতা কেটে নিন, বাড়তি মাথাটুকু কাঁটা দিয়ে কুশির নকশার ভিতর দিয়ে টেনে নিন। তারপর আরেকটি গিঁট দিয়ে বাড়তি সূতা কেটে নিন। এতে আপনার সেলাইয়ের শুরু কোথায় শেষ কোথায় বুঝা যাবেনা, আর সহজে খুলেও যাবেনা
এভাবে একটা ওড়না, বা জামার গলা, হাতা বা বাচ্চার জামার ঘেরে সূতার কাজ করে দেখন, কত সুন্দর দেখায়।কাপড়টা সহজে পুরানোও হয়না।
আর প্রিয়জনের জন্য এটা হতে পারে এক অমূল্য উপহার
আমি খুব ভালো কুশির সেলাই জানিনা, শিখেছি আমার মায়ের কাছে থেকে। তার আলোকেই আজ আপনাদের এই সেলাই নিয়ে কিছু প্রারম্ভিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।
প্রথনেই কাঁটা। কুশি কাঁটা নানা মাপের হয়। সূতার দোকানেই আপনি কুশির কাঁটা এওং সূতা পেয়ে যাবেন । সূতার কতটুকু মোটা নিবেন, তার উপর কাঁটা ও মোটা চিকন হয়। আমি যে কাঁটা ব্যাবহার করেছি, গায়ে লিখা 0.75 mm আর এটা সব সূতার দোকানেই পাওয়া যায়। দামেও সস্তা (৪০-৫০/-)
দুই ধরণের কুশি সেলাই আছে। চেইন আর লং। লং সেলাইটা আবার নানা রকম হয় তবে সব ধরণের লং এর সেলাই মূলত একই। আপনি যদি চেইন আর যেকোন একটা লং তুলতে পারেন, তাহলে আপনি যে কোন কুশির সেলাই তুলে ফেলতে পারবেন।
প্রথমে আমি ওড়নার এক মাথায় কাঁটা দিয়ে ছিদ্র করে সূতা ঢুকিয়ে একটা বিষ গিঠঠু দিয়ে সূতাটা ওড়নার সাথে আটকে নিয়েছি।
এরপর তিনটা চেইন তুলেছি।
যে কয়টা চেইন তুলবেন, আপনার লেইসটা তত টুকু চওড়া হবে।
চেইন তোলা খুব সহজ।
আপনার ডান হাতে থাকবে কাঁটা। বাম হাতের আঙ্গুলে সূতা পেঁচিয়ে টানটান করে নিন।
ডান হাতের কাঁটা কাপড়ের ছিদ্রে ঢুকান।
বাম হাতের সূতায় কাঁটা পেঁচিয়ে একটি ঘর তুলুল। হয়ে গেল আপনার প্রথম চেইন।
একই ভাবে তিনটি চেইন তুলুন।
বাম হাতের সূতা বেশি টানটান হয়ে গেলে আপনি ডান হাতের কাঁটা আগু-পিছু করে আপনার সেলাই এবং ঘরে কতটুকু ঢিলা হবে ঠিক করে নিতে পারেন।
এবার লং তোলার পালা।
কাটায় দুই বার সূতা পেচান।
কাঁটা কাপড়ের ছিদ্রে ঢুকিয়ে নিন।
বাম হাতের সূতা থেকে একবার পেঁচিয়ে কাটায় তুলে নিন।
এখন আপনার কাটায় চার টা ঘর আছে।
এখন নতুন করে আরেকবার সূতা পেচান।
সূতাটা আগের দুই ঘরের ভিতর দিয়ে ঢুকিয়ে ঘর দুইটা ছেড়ে দিন
এখন আপনার কাটায় তিন ঘর আছে
এখন নতুন করে আরেকবার সূতা পেচান।
সূতাটা আগের দুই ঘরের ভিতর দিয়ে ঢুকিয়ে ঘর দুইটা ছেড়ে দিন
এখন আপনার কাটায় দুই ঘর আছে
এখন নতুন করে আরেকবার সূতা পেচান।
সূতাটা আগের দুই ঘরের ভিতর দিয়ে ঢুকিয়ে ঘর দুইটা ছেড়ে দিন
এখন আপনার কাটায় মাত্র এক টা ঘর আছে
হয়ে গেল আপনার একটা লং
এভাবে তনটি লং বানান।
চেইন তোলার মত করে কাপড়ে আটকে নিন
পরের টুকু আবার রিপিট করুন- তিন চেইন, তিন লং
এভাবে একটা ওড়না, বা জামার গলা, হাতা বা বাচ্চার জামার ঘেরে সূতার কাজ করে দেখন, কত সুন্দর দেখায়।কাপড়টা সহজে পুরানোও হয়না।
আর প্রিয়জনের জন্য এটা হতে পারে এক অমূল্য উপহার
No comments:
Post a Comment