আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপের কথা মনে আছে? না ঘষে দৈত্য বের হওয়ার অংশ টকু না। ওই যে, আলাদীনের দুষ্টু চাচাটা পুরানো প্রদীপের বদলে নতুন প্রদীপ বিক্রি করছিল, আর আলাদীনের বোকা সোকা মা জাদুর প্রদীপটাকে পুরোনো ময়লা দেখে হাতে নিয়ে চল্ল বাজারের দিকে, সেটা বদলে আনবে বলে?
আমার মাঝে মাঝে এমন মনে হয়। পুরানো জিনিস গুলো বদলে যদি নতুন কিছু পাওয়া যেত!
তাতো আর সম্ভব না। তাই শখ মেটাতে পুরোনো কাপড় কেটে কুটে জুড়ে আমি নতুন কিছু বানানোর খেলা খেলি। এমন কিছু বানাতে চাই, যেটার একটা প্রয়োজনীয়তা আছে সংসারে। সাধ্যেরর ভিতর সেলাইয়ের শখও মিটল আবার প্রয়োজনও মিটল।মন্দ কি?
স্বাগতম আমার শখের দুনিয়া, শখের ব্লগে।
আজ আমি আপনাদের বলব, কিভাবে আমি আমার একটি পুরানো টাওয়েল দিয়ে নতুন কিছু জিনিস বানিয়েছি।
আমার ছোট দুইটা বাচ্চা আছে। প্রায়ই ওদের জন্য নতুন টাওয়েল কিনতে হয়। তাই পুরোনো গুলো জমে যায়। টাওয়েলের টুকরা দিয়ে খুব ভালো ঘর মোছার কাপড় হয়। আর একটা টাওয়েল আমি রাখে দিয়েছিলাম, কেটেকুটে কিছু সেলাই করা যায় কিনা দেখতে। সত্যি চমৎকার দুটি জিনিস বানিয়েছি সেই টাওয়েলটা দিয়ে। সেই গল্পই বলছি আজ।
১। রুটির ম্যাট
আমি বরাবর কাটিং বোর্ডে রুটি বানাই।কারণ রুটি বানানোর কাঠের পিড়ির তিন পা আম্র কাজে খুব সমস্যা করে। শব্দ হয়, পিছলে যায়। আর কাঠের পিড়ি খুব যত্ন করে ব্যাবহার করতে হয়, যেন আচড় না পড়ে। আবার বড় করে রুটিও বানানো যায়না। হাত ছড়িয়ে কাজ করা যায়না। এর চেয়ে আমার কাটিং বোর্ডই ভাল। এক বোরডের বহু ব্যাবহার। কাটা,পেষা, বেলা, ভর্তা বানানো। ধুয়ে স্টান্ডে সোজা করে রেখে দিলেই কাজ শেষ, সাথে সাথেই শুকিয়ে যায়।
কিন্তু এই বোর্ডে সাত তাড়াতাড়ি কাটাকাটি করা গেলেও, রুটি বানানোর সময় নিচে একটুকরা কাপড় ভাঁজ করে দিলে ভালো হয়। এতে কোন শব্দ ও হয়না, বোর্ড টা পিছলে যায়না।
ভাবলাম টাওয়েলের টুকরা দিয়ে একটা বাহারী ম্যাট বানিয়ে নিলে কেমন হয়
যেই ভাবা সেই কাজ।
ভিতরে টাওয়েল আর উপরে নতুন কাপর জুড়ে বানিয়েছি আমার রুটি বানানোর ম্যাট।
প্রথমে বোর্ডের চেয়ে একটু বড় মাপ নিয়ে টাওয়েল কেটে নিয়েছি
উপরে লাগানোর নতুন কাপড় বা পুরানো ওড়না বা জামার টুকরা বিছিয়ে টান টানি করে নিয়েছি
প্রান্ত গুলো মুড়ে পিন দিয়ে আটকে নিয়েছি
এবার মেশিনে সেলাই করে আটকে নিয়েছি।
দরজার পিছনে বা দেয়ালের কোন হুকে যেন ঝুলিয়ে রাখা যায়, সেজন্য ছোট একটা ফিতা জুড়ে আংটা বানিয়ে নিন।
ব্যাস হয়ে গেল আপনার পছন্দসই ম্যাট
২। ছোট ব্যাগ
বড় ব্যাগের ভিতর ভাংতি পয়সা বা মোবাইল রাখার জন্য ছোট ব্যাগ বানাতে চান?
প্রথমে সমান সমান করে দুই টুকরা টাওয়েলের টুকরা কেটে নিন। আমার ব্যাগের জন্য নিয়েছি মোটামুটি ৩০ সেমি * ১০ সেমির দুইটা টুকরা
তবে টাওয়েলের নিজের ধারের শক্ত অংশ বা কোন সূতার ডিজাইন করা থাকলে কেটে ফেলে দিতে হবে, কারণ এতে আপনার সেলাই করতে অসুবিধা হবে
এখন দুই টুকরা একটার সাথে আরেকটা ক্রস করে সেলাই করে আটকে নিন যেন টুকরা দুইটা একটার সাথে আরেকটা খুব ভালোমত আটকে থাকে।
এটাই আপনার ব্যাগের ভিতরের প্যাডিং
এখন বাইরের জন্য বাহারী নতুন চকচকে কাপড় নিন।
টাওয়েলের টুকরাটার চেয়ে সবদিকে আধাইঞ্চি বেশি কাপড় রাখুন।
এখন টানটান করে উপরের কাপড়টা সেলাই করে জুড়ে দিন।
আড়াআড়ি তিন ভাঁজ করুন। যেন একটা অংশ হয় ব্যাগের ঢাকনি
হাতে দুই পাশ সেলাই করে নিন,
ঢাকনিতে একটা টিপ বোতাম লাগিয়ে নিন।
এবার অন্য রঙের সূতা দিয়ে ইচ্ছামত কারুকাজ করে সাজিয়ে নিন আপনার শখের ছোট্ট ব্যাগ।
আর বোতামের ঘরের উপর একটা কুসিতে বোনা গোলাপ আটকে দিলে তো কথাই নেই। পুরানো কাপড়ে বানানো ব্যাগটাই হয়ে যাবে এক অনন্য শিল্পকর্ম
অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার মাঝে মাঝে এমন মনে হয়। পুরানো জিনিস গুলো বদলে যদি নতুন কিছু পাওয়া যেত!
তাতো আর সম্ভব না। তাই শখ মেটাতে পুরোনো কাপড় কেটে কুটে জুড়ে আমি নতুন কিছু বানানোর খেলা খেলি। এমন কিছু বানাতে চাই, যেটার একটা প্রয়োজনীয়তা আছে সংসারে। সাধ্যেরর ভিতর সেলাইয়ের শখও মিটল আবার প্রয়োজনও মিটল।মন্দ কি?
স্বাগতম আমার শখের দুনিয়া, শখের ব্লগে।
আজ আমি আপনাদের বলব, কিভাবে আমি আমার একটি পুরানো টাওয়েল দিয়ে নতুন কিছু জিনিস বানিয়েছি।
আমার ছোট দুইটা বাচ্চা আছে। প্রায়ই ওদের জন্য নতুন টাওয়েল কিনতে হয়। তাই পুরোনো গুলো জমে যায়। টাওয়েলের টুকরা দিয়ে খুব ভালো ঘর মোছার কাপড় হয়। আর একটা টাওয়েল আমি রাখে দিয়েছিলাম, কেটেকুটে কিছু সেলাই করা যায় কিনা দেখতে। সত্যি চমৎকার দুটি জিনিস বানিয়েছি সেই টাওয়েলটা দিয়ে। সেই গল্পই বলছি আজ।
১। রুটির ম্যাট
আমি বরাবর কাটিং বোর্ডে রুটি বানাই।কারণ রুটি বানানোর কাঠের পিড়ির তিন পা আম্র কাজে খুব সমস্যা করে। শব্দ হয়, পিছলে যায়। আর কাঠের পিড়ি খুব যত্ন করে ব্যাবহার করতে হয়, যেন আচড় না পড়ে। আবার বড় করে রুটিও বানানো যায়না। হাত ছড়িয়ে কাজ করা যায়না। এর চেয়ে আমার কাটিং বোর্ডই ভাল। এক বোরডের বহু ব্যাবহার। কাটা,পেষা, বেলা, ভর্তা বানানো। ধুয়ে স্টান্ডে সোজা করে রেখে দিলেই কাজ শেষ, সাথে সাথেই শুকিয়ে যায়।
কিন্তু এই বোর্ডে সাত তাড়াতাড়ি কাটাকাটি করা গেলেও, রুটি বানানোর সময় নিচে একটুকরা কাপড় ভাঁজ করে দিলে ভালো হয়। এতে কোন শব্দ ও হয়না, বোর্ড টা পিছলে যায়না।
ভাবলাম টাওয়েলের টুকরা দিয়ে একটা বাহারী ম্যাট বানিয়ে নিলে কেমন হয়
যেই ভাবা সেই কাজ।
ভিতরে টাওয়েল আর উপরে নতুন কাপর জুড়ে বানিয়েছি আমার রুটি বানানোর ম্যাট।
প্রথমে বোর্ডের চেয়ে একটু বড় মাপ নিয়ে টাওয়েল কেটে নিয়েছি
উপরে লাগানোর নতুন কাপড় বা পুরানো ওড়না বা জামার টুকরা বিছিয়ে টান টানি করে নিয়েছি
প্রান্ত গুলো মুড়ে পিন দিয়ে আটকে নিয়েছি
এবার মেশিনে সেলাই করে আটকে নিয়েছি।
দরজার পিছনে বা দেয়ালের কোন হুকে যেন ঝুলিয়ে রাখা যায়, সেজন্য ছোট একটা ফিতা জুড়ে আংটা বানিয়ে নিন।
ব্যাস হয়ে গেল আপনার পছন্দসই ম্যাট
২। ছোট ব্যাগ
বড় ব্যাগের ভিতর ভাংতি পয়সা বা মোবাইল রাখার জন্য ছোট ব্যাগ বানাতে চান?
প্রথমে সমান সমান করে দুই টুকরা টাওয়েলের টুকরা কেটে নিন। আমার ব্যাগের জন্য নিয়েছি মোটামুটি ৩০ সেমি * ১০ সেমির দুইটা টুকরা
তবে টাওয়েলের নিজের ধারের শক্ত অংশ বা কোন সূতার ডিজাইন করা থাকলে কেটে ফেলে দিতে হবে, কারণ এতে আপনার সেলাই করতে অসুবিধা হবে
এখন দুই টুকরা একটার সাথে আরেকটা ক্রস করে সেলাই করে আটকে নিন যেন টুকরা দুইটা একটার সাথে আরেকটা খুব ভালোমত আটকে থাকে।
এটাই আপনার ব্যাগের ভিতরের প্যাডিং
এখন বাইরের জন্য বাহারী নতুন চকচকে কাপড় নিন।
টাওয়েলের টুকরাটার চেয়ে সবদিকে আধাইঞ্চি বেশি কাপড় রাখুন।
এখন টানটান করে উপরের কাপড়টা সেলাই করে জুড়ে দিন।
আড়াআড়ি তিন ভাঁজ করুন। যেন একটা অংশ হয় ব্যাগের ঢাকনি
হাতে দুই পাশ সেলাই করে নিন,
ঢাকনিতে একটা টিপ বোতাম লাগিয়ে নিন।
এবার অন্য রঙের সূতা দিয়ে ইচ্ছামত কারুকাজ করে সাজিয়ে নিন আপনার শখের ছোট্ট ব্যাগ।
আর বোতামের ঘরের উপর একটা কুসিতে বোনা গোলাপ আটকে দিলে তো কথাই নেই। পুরানো কাপড়ে বানানো ব্যাগটাই হয়ে যাবে এক অনন্য শিল্পকর্ম
অসংখ্য ধন্যবাদ
No comments:
Post a Comment