Saturday, March 12, 2016

কাজের জিনিস : মাজুনি

সবাইকে সাধুবাদ জানাচ্ছি আমার ব্লগে।
শখের দুনিয়া :শখের ব্লগ।

আমাদের সবারই অনেক শখ আছে। আমাদের একঘেয়ে
দৈনন্দিন জীবনকে বর্ণীল  এবং আনন্দময় করে তোলে।

আজ আমার একটা শখের কথা বলি। আমি সেলাই করতে পছন্দ করি।
খুব ভাল সেলাই জানি, তা নয়। ছোট থেকেই পুরানো কাপড় কেটে জুড়ে
পুতুল, পুতুলের জামা, কাথা, বালিশ, শাড়ি বানাতাম। আমি পুতুল খেলতেও
খুব ভালোবাসতাম।

আমার মায়ের একটা সেলাই মেশিন ছিল। পায়ে চালানো ইলেক্ট্রিক সেলাই মেশিন
ব্রাদার্স কোম্পানির। মেশিন টার বয়স আমার চেয়েও বেশি।
এই মেশিনে আমি টুকটাক সেলাই করেছি।

আজ আপনাদের বলব কিভাবে আমি ব্যবহার করা শপিংব্যাগ এবং নেটের ব্যাগ জুড়ে
খুব কাজের একটা জিনিস বানিয়েছি। মাজুনি।



আপনি চাইলে এটি গোসলের গা মাজুনি হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। বা থালাবাটি, বালতি মগ ধোয়ার কাজে। অনেক সময় খাওয়ার টেবিলের ক্লথ বা কাঁচ - সাবান ডলে ধুতে হয়। তখন এটি আপনার কাজে লাগবে।
হাল্কা। সহজে শুকিয়ে যায়। গোসল খানায় একটি আংটা বা কলের সাথে
ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। আর খুব সস্তা। কারণ এটি আপনি আপনার ঘরে থাকা
শপিং ব্যাগ আর নেট ব্যাগ জুড়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন খুব সহজেই।

প্রথমে শপিং ব্যাগ মাপমত কেটে নিন। মোটামুটি  ৬"X ৪"


এই কাপড়টি ভিতরে থাকবে। এবং সেলাইয়ের পর দেখা যাবেনা। তাই আপনি সিল-ছাপ্পড় সহ দিকটা মাপমত
কেটে নিতে পারেন। দুইটি টুকরা নিন। একটির সাথে আরেকটি সেলাই করে জুড়ে নিন
এতে আপনার জিনিসটি মজবুত হবে



কাপড়টির দুইপাশে নেটব্যাগ কয়েক পরতে বিছান।
সেলাই করে আটকে দিন।













কাপড়টি আলোর দিকে ধরুন। ভিতরের কাপড়ট দেখা যাবে। সেই অনুসারে বাড়তি নেটব্যাগ কেটে নিন
এখন দেড় থেকে দুই ইঞ্চি চওড়া শপিং ব্যাগের টুকরা কেটে নিন এবং কাপড়টির চারদিকে লাগিয়ে একটি বর্ডার বানান








বর্ডারটির কাপড় একপাশে লাগানো হলে অন্যদিকে ঘুরিয়ে কিনার ভাঁজ করে জিগজ্যাগ সেলাই দিয়ে আটকে দিন
এতে আপনার মাজুনি টেকসই হবে।দেখতেও ভালো লাগবে।









সবশেষে দরকার একটি হাতল। সে জন্য আপনি আপনার শপিং ব্যাগের হাতলটি মাপমত কেটে নিন।
তারপর দুই ভাঁজ করে নিন।
কোণাকুণি করে হাতলটি লাগিয়ে নিন আপনার মাজুনির সাথে।












 ব্যাস,হয়ে গেল আপনার নিজ হাতে বানানো দরকারি একটি জিনিস।
রঙণ-বেরঙ এর শপিং ব্যাগ আর নেট ব্যাগ ব্যবগার করে বানিয়ে দেখুন
অনেক সুন্দর হয়।
 
কাছের প্রিয় মানুষকে উপহার ও দিতে পারেন এই দারুণ কাজের জিনিস টি
ধন্যবাদ।

No comments:

Post a Comment