Tuesday, March 15, 2016

অবসরে পাপোস বানান


আমরা, এই সময়ের মানুষ সব সময়েই ছুটে চলেছি চরম ব্যস্ততায়।
নানান কাজের তাড়া আমাদের। সময়ের আগে যেন সব শেষ করা চাই।
এই ব্যস্ততা যেন এক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। তাই, একখন্ড অবসর পেলেও
তা উপভোগ করতে ভুলে গেছি। অবসর যাপন কে মনে হতে থাকে বুঝি সময় নষ্ট করছি।
এই অদ্ভুত সমস্যা থেকে পরিত্রাণের একটা পরীক্ষিত উপায়
হল সৃষ্টিশীল কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা। তাই আমি বেছে নিয়েছি
ছোট্ট ছোট্ট সৃষ্টিশীল কাজে ছোট্ট একটু সময় বরাদ্দ রাখা।

আজ বলব সেই ধারাবাহিতায় আমার নতুন শেখা একটি পাপোস বানানোর গল্প।
স্বাগত আমার শখের দুনিয়া : শখের ব্লগে।

মজার ব্যাপার হল, পাপোসটি আমি বানিয়েছি ঘরে থাকা পুরোনো গেঞ্জি এবং 
ট্রাউজারের কাপড় দিয়ে। তাই এটা একই সাথে সস্তা এবং প্রয়োজনীয়।

প্রথমে পছন্দসই কাপড় সেলাই বাদে লম্বা লম্বা করে কেটে নিন।









কাপড়ের খন্ডটি লম্বালম্বি ভাবে টান দিয়ে দেখুন দুই প্রান্ত গোল হয়ে পেচিয়ে যাবে।









এখন দুই আঙুলে একটি খন্ড পেচিয়ে একটি ফস্কা গেরো দিন। হয়ে গেল আপনার প্রথম চেইন।




















এভাবে লম্বা একটি বেণী তৈরী হবে
একটি খন্ড বোনা শেষ হলে আরেকটির সাথে জোড়া দেয়া খুব সহজ। এইজন্য আপনার শুধু লাগবে একটি কেঁচি


পুরানো এবং নতুন কাপড়ের খন্ড একসাথে নিয়ে আড়ায়াড়ি করে ভাজ করুন। কাপড় দুটিতে একটি করে ছিদ্র করুন কেচি দিয়ে।
এখন ভাজ খুলে একটি খন্ডের উপর অন্য খন্ডটি বিছান। নতুন খন্ডের লেজ ধরে ঘুরিয়ে ছিদ্র দিয়ে বের করে দিন। শক্ত করে টানুন। দুই কাপড়ের মাঝে একটি গিঁট পড়বে।




























এখন আগের মতই চেইন বানাতে থাকুন।

পুরো বেনী বানানো হয়ে গেলে একমাথা থেকে পেচান এবং সেলাই করে আটকে দিতে থাকুন। গোল একটি পাপোস তৈরী হবে।











এখন একটি কাপড়ের শপিং ব্যাগের উপর সেলাই করে বসিয়ে দিন। তাহলে আর আপনার পাপোসটি টাইলসের মেঝেতে কুঁচকে বা পিছলে যাবেনা। বরং মজবুত হবে।

'










এখন শপিং ব্যাগের বাড়তি অংশ কেটে ফেলুন। হয়ে গেল আপনার হাতে বানানো সহজ সুন্দর প্রয়োজনীয় একটি জিনিস।পাপোসটি রাখতে পারেন আপনার বিছানার পাশে। গেঞ্জির কাপড়ে বোনা  বলে এটি নরম আর পানি শোষোণ করতে পারে অনেক বেশি। তাই বাথরুমের সামনেও রাখতে পারেন।
পছন্দমত রঙের কাপড় নিয়ে খেলুন। যত বব্যস্তই হোন, দেখবেন পাপোসটির দিকে চোখ পড়বেই আর এক নিমিষেই দূর হয়ে যাবে দুশ্চিন্তার বাড়তি চাপ।
ধন্যবাদ।


No comments:

Post a Comment