বাচ্চাদের একটা নিজস্ব কল্পনার জগত আছে। কি গভীর ভাবে মগ্ন হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা তারা এই আপন ভুবনে কাটিয়ে দিতে পারে। তার এই কল্পনার জগতে চলে যাওয়ার মূল উপায় হল খেলা। কখনো সে সাজে শক্তিশালী বীর, মা কে উদ্ধার করে রাক্ষস খোক্কসের কবল থেকে, কখনো চলে পুতুলের মা হয়ে তাদের যত্ন আত্তি, রান্না বান্না, স্কুল। মনে আছে আমি যখন ছোট ছিলাম, কাঠগোলার বাসাতে প্রতিদিন বিকালে বাসার নিচে খেলতে নামতাম। বিশাল বিশাল কাঠের গুড়ি জড়ো করা ছিল, সেইগুলিতে আমার ছোটভাই আর সমবয়সী বন্ধুদের সাথে জাহাজ জাহাজ খেলতাম। সন্ধ্যা গড়ালেও সেই কল্পনার জাহাজ, সমুদ্র, ঢেউ, জলদস্যু ফেলে উপরে আসতে একদম ইচ্ছা করত না। মায়ের বকুনিও যেন শুনতে পেতাম না খেলার নেশায়।
তবে এখনকার বাচ্চাদের সেই দুরন্ত শৈশব নেই।
কল্পনার জগতটাও কার্টুন ছবি কে ঘিরে।
বাবা মা হিসেবে সবাই আমরা চাই, সীমাবদ্ধতার মাঝেও সন্তানকে সবটুকু আনন্দের যোগান দিতে। সেই ইচ্ছা থেকেই আজ আমি আপনাদের বলব কিভাবে আমি আমার বাচ্চাদের খেলার পোশাক বানিয়ে দিয়েছি।
স্বাগত আমার শখের দুনিয়া, শখের ব্লগে।
মূলত আমি এই বুদ্ধি পেয়েছি একটি ইউটিউব ভিডিও থেকে। আমি সহজে বাচ্চাদের জামা বানানোর কৌশল খুঁজছিলাম, তখন এক মায়ের পোস্ট করা একটা ভিডিও দেখে আমিও বাচ্চাদের এলসা -আনার জামা বানাতে বসলাম
এইজন্য প্রথমে বাচ্চার একটি পুরানো গেঞ্জি নিয়েছি। চাইলে নতুন কাপড় কিনেও বানাতে পারেন। বাচ্চার মাপে গেঞ্জি নিলে সুবিধা হল, কষ্ট করে মাপ নিয়ে টপ্স টুকু আর বানাতে হবেনা। যারা সেলাই ফোঁড়াই করেন, তারা জানেন, টপস বানানোর অংটুকুই বেশি ঝামেলার কাজ।
চাইলে গেঞ্জির সেলাই খুলে পছন্দমত কাপড় বসিয়ে নিতে পারেন।
এবার নিচের ঘের বানানো জন্য আপনি একই ভাবে নতুন কাপড়, বা পুরান ওড়না বা শাড়ির টুকরা ব্যাবহার করতে পারেন। পা পর্যন্ত লম্বা মাপ নিয়ে কাপড় কেটে নিন। নইচে ভাঙুন। দুই মাথা জুড়ে নিন।
এবার টপ্সের সাথে জোড়া দিতে হব্র।
সেজন্য টপসটি সোজা দিকে রাখুন। ঘেরের কাপড়টি উলটে নিন।
আপনি একপাশের সেলাই থেকে সেলাই শুরু করবেন। তাহলে জামার কিনার বরাবর সেলাই পরবে। মাঝ বরাবর সেলাই পরলে দেখতে ভালাও লাগবেনা
প্রথমে কাপড় দুটি একটির সাথে আরেকটি আটকে নিন।
এবার অন্যপ্রান্ত পিন বা সেফটি পিন দিয়ে আটকে নিন। এতে সামনে পইছনে কুচির পরিমাণ সমান থাকবে।
চাইলে প্রথমে ঘেরের কাপড়টি বড় বড় ফোড় দিয়ে টাকিয়ে নিয়ে পরে টপ্সের সাথে জুড়তে পারেন।
এবার কাপড় দুটি জোড়ার সময় খেয়াল রাখবেন, টপদ থাকবে টানটান আর ঘেরের কাপড়টি হবে কুচি কূচী।
টপ্স আর ঘের লাগানো হলে একই সেলাই বরাবর আরেক লেয়ার সুতি কাপরের লাইনিন লাগাতে পারেন। বিষেষ করে জামাটির কাপড় যদি সিন্থেটিক হয়। এছাড়ক লাইনিন লাগালে জামাটি ফোলা ফোলা হবে, যেটা বাচ্চারা পছন্দ করে।
আমি অল্প কাপড় দিয়ে বানিয়েছি বলে জামার একপাশে একটি কাটা রেখেছি। যেন খেলার সময় দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে বাচ্চারা পরে না যায়। তাছাড়া এলসার জামাতে এমন একটা কাটা আছে। তাই এই কাটা দেখে বাচ্চারা আরো খুশি হয়।
এবার পিছনের ঝালর।
একটি পাতলা ওড়না মাপনত কেটে কুচি কুচি করে পিঠের কাপড়ের সাথে আটকে দিন।
হয়ে গেল বাচ্চার খেলার প্রিন্সেস ড্রেস।
সাথে এমন এক সংগী রাজকন্যা থাকলে তো কথাই নেই। মনের আনন্দে খেলতে থাকবে আপনার প্রিন্সেস।
আসলে বাচ্চাদের প্রিন্সেস আদলে কেনা পার্টি ড্রেস গুলোতো শুধু বেড়ানোর সময়েই পরানো হয়। আর তখনো খেয়াল থাকে যেন সেটা ময়লা না হয়, বা ছিঁড়ে ফেটে না যায়।তাই সেই জামা পরে খেলতেও বারণ।
আপনি কি ইতস্তত করছেন? কেমন হবে ব্যাপারটা? মোটেই না। একটা খেলার জামা এভাবে বানিয়েই দেখুন না ওদের আনন্দের বন্যা
আর আমার মত আনাড়ি হলেও কিচ্ছুটি হবেনা। খেলার জামাই তো, অত নিখুঁত হওয়ার প্রয়োজন নেই। খরচ নেই বললেই চলে, শুধু দরকার ঘন্টাখানেক সময়।
কেমন লাগল বলুন বুদ্ধিটা?
অসংখ্য ধন্যবাদ।
তবে এখনকার বাচ্চাদের সেই দুরন্ত শৈশব নেই।
কল্পনার জগতটাও কার্টুন ছবি কে ঘিরে।
বাবা মা হিসেবে সবাই আমরা চাই, সীমাবদ্ধতার মাঝেও সন্তানকে সবটুকু আনন্দের যোগান দিতে। সেই ইচ্ছা থেকেই আজ আমি আপনাদের বলব কিভাবে আমি আমার বাচ্চাদের খেলার পোশাক বানিয়ে দিয়েছি।
স্বাগত আমার শখের দুনিয়া, শখের ব্লগে।
মূলত আমি এই বুদ্ধি পেয়েছি একটি ইউটিউব ভিডিও থেকে। আমি সহজে বাচ্চাদের জামা বানানোর কৌশল খুঁজছিলাম, তখন এক মায়ের পোস্ট করা একটা ভিডিও দেখে আমিও বাচ্চাদের এলসা -আনার জামা বানাতে বসলাম
এইজন্য প্রথমে বাচ্চার একটি পুরানো গেঞ্জি নিয়েছি। চাইলে নতুন কাপড় কিনেও বানাতে পারেন। বাচ্চার মাপে গেঞ্জি নিলে সুবিধা হল, কষ্ট করে মাপ নিয়ে টপ্স টুকু আর বানাতে হবেনা। যারা সেলাই ফোঁড়াই করেন, তারা জানেন, টপস বানানোর অংটুকুই বেশি ঝামেলার কাজ।
চাইলে গেঞ্জির সেলাই খুলে পছন্দমত কাপড় বসিয়ে নিতে পারেন।
বা গেঞ্জিটার যে অংশে লেখা বা ছবি আছে শুধু সেইটুকু ঢেকে নিন। লেস লাগিয়ে নকশা করে নিতে পারেন।
এবার টপ্সের সাথে জোড়া দিতে হব্র।
সেজন্য টপসটি সোজা দিকে রাখুন। ঘেরের কাপড়টি উলটে নিন।
আপনি একপাশের সেলাই থেকে সেলাই শুরু করবেন। তাহলে জামার কিনার বরাবর সেলাই পরবে। মাঝ বরাবর সেলাই পরলে দেখতে ভালাও লাগবেনা
প্রথমে কাপড় দুটি একটির সাথে আরেকটি আটকে নিন।
এবার অন্যপ্রান্ত পিন বা সেফটি পিন দিয়ে আটকে নিন। এতে সামনে পইছনে কুচির পরিমাণ সমান থাকবে।
চাইলে প্রথমে ঘেরের কাপড়টি বড় বড় ফোড় দিয়ে টাকিয়ে নিয়ে পরে টপ্সের সাথে জুড়তে পারেন।
এবার কাপড় দুটি জোড়ার সময় খেয়াল রাখবেন, টপদ থাকবে টানটান আর ঘেরের কাপড়টি হবে কুচি কূচী।
টপ্স আর ঘের লাগানো হলে একই সেলাই বরাবর আরেক লেয়ার সুতি কাপরের লাইনিন লাগাতে পারেন। বিষেষ করে জামাটির কাপড় যদি সিন্থেটিক হয়। এছাড়ক লাইনিন লাগালে জামাটি ফোলা ফোলা হবে, যেটা বাচ্চারা পছন্দ করে।
আমি অল্প কাপড় দিয়ে বানিয়েছি বলে জামার একপাশে একটি কাটা রেখেছি। যেন খেলার সময় দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে বাচ্চারা পরে না যায়। তাছাড়া এলসার জামাতে এমন একটা কাটা আছে। তাই এই কাটা দেখে বাচ্চারা আরো খুশি হয়।
এবার পিছনের ঝালর।
একটি পাতলা ওড়না মাপনত কেটে কুচি কুচি করে পিঠের কাপড়ের সাথে আটকে দিন।
হয়ে গেল বাচ্চার খেলার প্রিন্সেস ড্রেস।
সাথে এমন এক সংগী রাজকন্যা থাকলে তো কথাই নেই। মনের আনন্দে খেলতে থাকবে আপনার প্রিন্সেস।
আসলে বাচ্চাদের প্রিন্সেস আদলে কেনা পার্টি ড্রেস গুলোতো শুধু বেড়ানোর সময়েই পরানো হয়। আর তখনো খেয়াল থাকে যেন সেটা ময়লা না হয়, বা ছিঁড়ে ফেটে না যায়।তাই সেই জামা পরে খেলতেও বারণ।
আপনি কি ইতস্তত করছেন? কেমন হবে ব্যাপারটা? মোটেই না। একটা খেলার জামা এভাবে বানিয়েই দেখুন না ওদের আনন্দের বন্যা
আর আমার মত আনাড়ি হলেও কিচ্ছুটি হবেনা। খেলার জামাই তো, অত নিখুঁত হওয়ার প্রয়োজন নেই। খরচ নেই বললেই চলে, শুধু দরকার ঘন্টাখানেক সময়।
কেমন লাগল বলুন বুদ্ধিটা?
অসংখ্য ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment