সবাই কে স্বাগত আমার শখের দুনিয়া শখের ব্লগে।
আজ আপনাদের বলব কুশি কাটার সেলাই নিয়ে।
আমার মায়ের কাছ থেকে কুশি কাটার সেলাই করা শিখেছি সেই ছোট্টবেলায়।
একটা ফস্কা গেরো দিয়ে তার ভিতর দিয়ে সূতা টেনে নিয়ে এসে হয় 'চেইন'। আর 'লং' করার জন্য একটা বেইজ লাগে। হয় একটা চেইন ফোড় দিয়ে বানানো গোল বা শুধু একটা চেইন। বা কাপড়, যদি লেইস বানাতে চান।
সেজন্য আগে কতটুকু লম্বা লং বানাতে চান, সে কয়টা চেইন তুলুন।কাটায় একবার সুতা পেচান। বেইজে আটকান সূতা পেচিয়ে।আপনার কাটায় এখন তিনটা সূতা। বাইরে থেকে নতুন সূতা টেনে প্রথমে দুই ঘর ছাড়ুন।কাটায় আছে দুই প্যাচ। এখন আবার সুতা টেনে ঘর দুটা ছেড়ে দিন। ব্যাস।
আমি আজ কুশি দিয়ে আংটি বানিয়েছি।
প্রথমে চারটা চেইন তুলেছি।
প্রথম আর শেষ চেইন বন্ধ করে গোল বানিয়েছি। এইটা আপনার ফুলের বেইজ।
এবার একঘর চেইন তুলেছি।
এখন লং। তবে এক প্যাচের লং না, দুই প্যাচের লং। লং করার নিয়ম একই শুধু মাঝের সূতাটুকু দুইবার পেচাতে হয়।
এরকম চারটা লং তুলুন
এবার চেইন তোলার মত করে ঘরটা আটকে দিন বেইজের সাথে। হয়ে গেল একটি পাপড়ি
এভাবে চার বা পাচটি পাপড়ি বানান
লক্ষ্য করুন, সেলাই যেন গোল বেইজের চারদিক ঘিরে হয়, তাহলে পাপড়ি গুলো আপনি পছন্দ মত আঁটসাঁট করে নিতে পারবেন।
এবার আঙুলের মাপ নিয়ে চেইন তুলুন।
চেইন এর আরেক মাথা ফুলের অন্যপাশের পাপড়ির সাথে আটকে দিন।
এবার আংটির টুকুকে মজবুত করতে চেইনকে বেইজ ধরে এক ঘরের লং তুলতে থাকুন।লং গুলো আঁটসাঁট করে নিন।
হয়ে গেল আপনার হাতে বানানো গয়না।
বাড়তি সুতা গুলো কাটার সময় বর করে কাটুন।পুরো জিনিসটা বানানো হয়ে গেলে কাটা ঘুরিয়ে নিচে সূতা এনে গিট দিয়ে চোখে পরেনা এমন ভাবে কেটে দিন।
বাচ্চাদের খুব প্রিয় এমন আংটি। সুতার, তাই আঙুলে ব্যথা পাবেনা। চার বছর বয়সীদের জন্য হয়ে পারে চমৎকার উপহার। একদম ছোট বাচ্চাকেও পরিয়ে দিতে পারেন। তবে সে যদি আংগুল থেকে নিজেই খুলে ফেলতে পারে (১ থেকে ৩বছর) তাহলে না দেয়াই ভাল, কারণ আপনি লক্ষ্য করার আগেই সে মুখে পুরে দিতে পারে এই ছোট্ট জিনিসটি
আপনার পোষাকের সাথে রং মিলিয়ে পুতি বসিয়ে নিজের জন্যও বানাতে পারেন এই অভিনব আংটি।
মাত্র দশ মিনিটে বানানো এই ছোট্ট গয়নাটি আপনাকে দিতে পারে অতুলনীয় আনন্দ।
ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment